ঢাকা ০৫:৩১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ মে ২০২৪, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

এক সঙ্গে জেডিসি পরীক্ষায় বাবা-ছেলে

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭
  • ২২৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ বছর তারা খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষ দিচ্ছে।

জেডিসি পরীক্ষার্থী বাবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার কোনো বয়স নেই। এ ছাড়া আমার অনেক দিনের ইচ্ছা একজন আলেম হওয়া। যে কারণে আমি ছেলের সঙ্গে জেডিসি পরীক্ষা দিচ্ছি। এ পরীক্ষায় পাস করলে এরপর দাখিল ও আলিম পরীক্ষা দিয়ে যতদূর সম্ভব পড়তে চাই। তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে দেশে প্রচলিত সাধারণ শিক্ষায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করি। এরপর এইচএসসি ভর্তি হই কিন্তু পারিবারিক চাপের কারণে আর লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

তার ছেলে মেহেদী হাসান বলে, বাবা আর আমি এক সঙ্গেই পরীক্ষা দিচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। বাবার পাশেই আমার সিট পড়েছে। আমার বাবার ইচ্ছা যেন পূরণ হয় সবাই সেই দোয়া করবেন

খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসা সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, বাবুল হোসেন বলেছিল সার্টিফিকেটের জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য সে পড়তে চায়। এ কারণে আমি তাকে সুযোগ করে দিয়েছিলাম। ছেলে ও বাবা খুব ভালো পরীক্ষা দিচ্ছে বলে তিনি জানান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

এক সঙ্গে জেডিসি পরীক্ষায় বাবা-ছেলে

আপডেট টাইম : ০২:৪৭:৪৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ নভেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ এ বছর তারা খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসা থেকে জেডিসি পরীক্ষ দিচ্ছে।

জেডিসি পরীক্ষার্থী বাবুল হোসেন বলেন, শিক্ষার কোনো বয়স নেই। এ ছাড়া আমার অনেক দিনের ইচ্ছা একজন আলেম হওয়া। যে কারণে আমি ছেলের সঙ্গে জেডিসি পরীক্ষা দিচ্ছি। এ পরীক্ষায় পাস করলে এরপর দাখিল ও আলিম পরীক্ষা দিয়ে যতদূর সম্ভব পড়তে চাই। তিনি বলেন, ১৯৯৫ সালে দেশে প্রচলিত সাধারণ শিক্ষায় এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করি। এরপর এইচএসসি ভর্তি হই কিন্তু পারিবারিক চাপের কারণে আর লেখা-পড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।

তার ছেলে মেহেদী হাসান বলে, বাবা আর আমি এক সঙ্গেই পরীক্ষা দিচ্ছি। খুব ভালো লাগছে। বাবার পাশেই আমার সিট পড়েছে। আমার বাবার ইচ্ছা যেন পূরণ হয় সবাই সেই দোয়া করবেন

খামারমুন্দিয়া গাজেম আলী দাখিল মাদরাসা সুপার মো. রবিউল ইসলাম জানান, বাবুল হোসেন বলেছিল সার্টিফিকেটের জন্য নয়, জ্ঞান অর্জনের জন্য সে পড়তে চায়। এ কারণে আমি তাকে সুযোগ করে দিয়েছিলাম। ছেলে ও বাবা খুব ভালো পরীক্ষা দিচ্ছে বলে তিনি জানান।